Sunday, July 26, 2015

টরেন্ট কি এবং কেন?



আসসালামুআলাইকুম।
সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
আশা করি সবাই ভালো আছেন।

এটা আমার প্রথম টিউন তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।

আমার প্রথম টিউনটি টরেন্ট সম্পর্কে।

এ সম্পর্কে হয়তবা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না।
আজকে শুধু টরেন্ট সম্পর্কে যারা জানেন না তাদের জন্য ব্যাসিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
পরবর্তি টিউনে ইনশাআল্লাহ্‌ এডভান্স কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করব।

তো চলুন শুরু করা যাক।

টরেন্ট কি? 

আমরা সাধারনত ইন্টারনেট থেকে যেসসব ফাইল বা ডাটা ডাউনলোড করি তা বিভিন্ন সার্ভারে জমা থাকে। আমরা সেখান থেকে ডাউনলোড করি, কিন্তু টরেন্ট কোন সার্ভার থেকে ডাউনলোড হয় না এটা সরাসরি অন্য কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড হয়।
আর এ ধরনের নেটওয়ার্ককে P2P File Sharing Network ও বলা হয়ে থাকে।

টরেন্ট কেন ব্যবহার করবেন?


আপনি লক্ষ করবেন ইদানিং বিভিন্ন আপলোডার সাইটের আপলোডকৃত ফাইলগুলো কিছুদিন পর আর খুজে পাওয়া যায় না, সেক্ষেত্রে file not found/ Error ইত্যাদি লেখা দেখায়। আসলে কপিরাইট ও পাইরেসির কারনে ফাইলগুলো সার্ভার থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়। কিন্তু টরেন্ট যেহেতু কোন সার্ভারভিত্তিক সেবা না, এটা সরাসরি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডাউনলোড হয় সেহেতু টরেন্ট থেকে কোন ফাইল এভাবে মুছে ফেলা হয় না। তাই টরেন্টের সংগ্রহশালা অনেক বিশাল।
প্রায় সবধরনের গেমস, মুভি,মিউজিক ভিডিও, সফটওয়্যার, পিডিএফ ইত্যাদি টরেন্টে পাবেন।
তাই বর্তমান সময়ে ফাইল শেয়ারিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো টরেন্ট।

টরেন্ট যেভাবে কাজ করেঃ

আগেই বলেছি টরেন্টের নিজস্ব কোন সার্ভার নেই। যে ফাইলটা আপনি ডাউনলোড করবেন অন্যের পিসি থেকে অনুরূপভাবে একই সময় আপনার পিসি থেকে অন্যজন ফাইলটা ডাউনলোড করতে থাকবে। কাজেই এক্ষেত্রে অবশ্যই ২জনেরই একই সময় ফাইলটা ডাউনলোড করতে হবে।এ জন্য আর এক সাথে যত বেশিজন ডাউনলোড করবেন স্পীড তত ভালো পাবেন। আর কত জন ডাউনলোড করছে এই মুহুর্তে তা প্রতিটি টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করার সময় আপনি দেখতে পাবেন। ডাউনলোডারদের সিডার বলা হয়। কাজেই যত বেশি সিডার দেখবেন তত বেশি স্পীড পাবেন।

টরেন্ট সম্পর্কিত কিছু শব্দঃ

Torrent:P2P ফাইল শেয়ার।
P2P: Peer 2 Peer.
Peer: যে একই সময়ে ঐ ফাইল ডাউনলোড বও আপলোড করে।
Seed:যে আপলোড করে।
Client: যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টরেন্ট ডাউনলোড করা হয়।( Utorrent, Bittorrent etc).
Tracker: যে সার্ভারে টরেন্ট ফাইল রাখা হয় বা মাধ্যম।
টরেন্টের সুবিধাঃ
1)সকল প্রকার ফাইল পাওয়া যায় 
2)যতবার ইচ্ছা রিজিউম করে রাখা যায়।
3)টরেন্ট ডাউনলোডার ফ্রিতে পাওয়া যায়।

4)টরেন্ট ডাউনলোড করতেও টাকা লাগে না।

5)Peer বেশি থাকলে ডাউনলোডে অনেক স্পীড পাওয়া যায়।
৬)আপনি যদি ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারি হন এবং বিডিক্স কানেক্টেড হন তাহলে দেশি বিভিন্ন টরেন্ট সাইট থেকে আপনার নেটের মূল স্পিডের চাইতে অনেক বেশি স্পীডে ডাউনলোড করতে পারবেন। 
টরেন্টের অসুবিধাঃ


1) Peer কম থাকলে স্পীড কম হয় ।
2)যেহেতু ফাইলগুলো অন্য কোন ব্যবহারকারীর কম্পিউটার থেকে আসছে,সেহেতু তার কম্পিউটারে ভাইরাস থাকলে সে ফাইলের সাথে আপনার কম্পিউটারেও ভাইরাস আক্রমন করতে পারে

সতর্কতাঃ

1)ভাল এন্টিভাইরাস ব্যাবহার করবেন, নিয়মিত আপডেট এবং সবসময় এনাবল রাখবেন।

2)টরেন্ট ফাইলের সাথে বিজ্ঞাপনের মত দেওয়া কোন সাইটে যাবেন না কারন অধিকাংশ সময় এতে ভাইরাস থাকে।
3)আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল ছারা অন্য কোন ফাইলে ডাবল ক্লিক করবেন না। যদিও করেন সেক্ষেত্রে এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে সন্দেহ মুক্ত হতে পারেন।
 
4)ভিডিও ফাইল গুলো অনেক সময় অর্ধেক ডাওনলোড হলে প্লে করা যায়, এ ক্ষেত্রে অনেক সময় প্লে করলে সে ফাইলটা করাপ্ট হয়ে যায় এবং পরে আর ডাওনলোড হয় না।
5)যে কোন ফাইল পুরোপুরি ডাওনলোড না হওয়া পর্যন্ত রিনেম বা মুভ করবেন না।
তো আজ এই পর্যন্তই।
পরবর্তি টিউনে কিভাবে টরেন্ট ব্যবহার করে ডাউনলোড করবেন,জনপ্রিয় কিছু ক্লাইএন্ট সফটওয়্যার, এবং টরেন্ট ডাউনলোডের জন্য কিছু জনপ্রিয় কিছু সাইট বা Tracker নিয়ে হাজির হব।
সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।
 
written by

No comments:

Post a Comment